বিস্তারিত
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস বা বিশ্ব হাতধোয়া দিবস বিশ্ব ব্যাপী জনসচেতনতা তৈরী ও উদ্বুদ্ধ করনের জন্য চালানো একটি প্রচারণামূলক দিবস। প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর তারিখে বিশ্ব ব্যাপী এটি পালিত হয়ে থাকে। জনসাধারণের মধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরী করার উদ্দেশ্যে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে প্রধান সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুধু করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধই নয়; জ্বর, ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব রোধেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধোয়া কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অবচেতনভাবে আমরা হাত দিয়ে ক্রমাগত চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করে থাকি। হাত অপরিষ্কার থাকলে এমন স্পর্শের মাধ্যমে দেহের ভেতর জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। তাই কিছু সময় পরপর সাবান-পানিতে হাত ধুয়ে নিলে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কাসহ নানা ধরনের রোগব্যাধি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। করোনাভাইরাস আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে যাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনে এ চর্চা অন্তর্ভুক্তির সময় এসেছে।
পাঁচটি প্রধান ধাপে হাত ধোয়ার কথা বলা হয়। প্রথমে পরিষ্কার পানিতে হাত ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর হাতের পিঠ, তালু ও আঙুলে পরিমাণমতো সাবান ঘষে নিতে হবে। তারপর অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষে নিতে হবে। হাতে কোনো আংটি বা অন্যান্য গয়না থাকলে তার ওপর-নিচ ভালো করে ঘষে নিতে হবে। দুই হাত একে অপরের সঙ্গে ভালো করে ঘষতে হবে এবং এরপর পরিষ্কার পানিতে হাত ধুয়ে নিতে হবে। হাত ধোয়া শেষ হলে তা শুকনা কাপড় বা টিস্যু দিয়ে ভালো করে মুছে নিতে হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস